শুধু মধ্যপ্রাচ্যে তিন লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাচ্ছেন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
থেকে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অল্প সুদের হারে আপনাকে লোন দিয়ে
যাচ্ছে, মাত্র সাত কর্ম দিবসের মধ্যেই।
image
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লক্ষ লক্ষ টাকা লোন দিচ্ছে, যা আমাদের এখনো
অজানা। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজে লোন নেওয়ার নিয়ম নিয়ে কিছু
আলোচনা করব, যাতে অল্পতেই লোন পান।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য লক্ষ লক্ষ টাকা লোন দিয়ে
থাকে। আপনি কত টাকা লোন পাবেন সেটা নির্ভর করে আপনার বেতনের ওপর। সেটা
আপনি বুঝবেন কিভাবে? সেটা তো জানার বিষয়, কন্টাক্ট পেপারে যখন সাইন করেন
তখন সেখানে লেখা ছিল আপনার কাজের বেতন কত। মধ্যপ্রাচ্যে দেশের ভিসার
জন্য অনেক টাকা লোন দিয়ে যাচ্ছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।
কাতার, মালেশিয়া, সৌদি আরব, দুবাই ইত্যাদি মধ্যপ্রাচ্য দেশগুলোতে
গেলে, আপনার বেতন বাংলাদেশি ৩০ হাজার থেকে ৪০ হাজার টাকা হলে, সেখান থেকে
আপনি ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক
আপনার নিকটস্থ জেলায় যোগাযোগ করে সেখানে সকল তথ্য কাগজপত্র জমা দিলে, আপনি
এই সেবাটি নিতে পারবেন।
আপনি যদি একজন রেমিটেন্স যোদ্ধা হন কিংবা বিদেশে পাড়ি জমাতে চান। তাহলে
অবশ্যই আপনাকে একটি ভালো এজেন্সি নির্বাচন করতে হবে। সেখানে তারা অরজিনাল ভিসা
বিএমইটি বা ম্যান পাওয়ার করে দিবে কিনা সে বিষয়টি আলোচনা করে নিবেন। তারপর
আপনার পাসপোর্ট বই সেখানে জমা দিবেন তাহলে আশা করা যায় আপনি অরিজিনাল ভিসা
পাবেন।
কত দিনে লোন পাওয়া সম্ভব
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত লোন পাবেন। সেক্ষেত্রে আপনার বেতন হতে হবে বাংলাদেশি টাকা প্রায় (মাসিক) ৩০ হাজার টাকার উপরে। আপনি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে যদি কাগজপত্র ঠিকভাবে দেন, তাহলে তিন কিংবা সাত কর্ম দিবসের মধ্যেই আপনার কাঙ্খিত লোনটি পেয়ে যাবেন। এক্ষেত্রে আপনি কোন দালালের খপ্পরে পা দেবেন না।
বর্তমানে বাংলাদেশে দালাল একটি ভয়ংকার রূপ নিয়ে দাঁড়িয়েছে। দালাল আপনাকে অনেক লোভ দেখিয়ে ১০ হাজার / ৫ হাজার টাকা হাতিয়ে নিতে পারে, সেদিকে আপনি লক্ষ্য রাখবেন। মনে রাখবেন দালাল আপনার কোনদিন মঙ্গল চাইবে না। আপনি নিজেই ফেস টু ফেস কথা বলে কাজ করবেন।
যারা বিদেশে পাড়ি জমাবেন তাদের উদ্দেশ্যে বলছি, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক সর্বদাই আপনার জন্য কাজ করে যাচ্ছে। তাই আপনি সরাসরি আপনার নিকটস্থ প্রবাসী করলেন ব্যাংকে আপনার সকল ডকুমেন্ট নিয়ে যাবেন। এতে করে আপনি অতি দ্রুত লোনটি পেয়ে যাবেন। সকল ডকুমেন্ট ঠিক থাকলে আপনি সাত কর্ম দিবসের মধ্যেই আপনার লোনটি পেয়ে যাবেন।
কি কি কাগজপত্র হলে অল্প দিনে লোন পাওয়া সম্ভব
রেমিটেন্স যোদ্ধাদের জন্য প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক লক্ষ লক্ষ টাকার লোন দিয়ে যাচ্ছে। আপনি কাঙ্খিত লোনটি পেতে অবশ্যই ডকুমেন্টসগুলো সঠিক রাখবেন। আপনার অরজিনাল ভিসা, ম্যান পাওয়ার কিংবা বি এম ইটি থাকলেই অল্প দিনে আপনি লোনটি পেয়ে যাবেন।
তিন/পাঁচ কিংবা সাত কর্ম দিবসের মধ্যে আপনি লোনটি পেয়ে যাবেন যদি আপনার কাগজপত্র সকল ঠিক থাকে। প্রথমত আপনার পাসপোর্ট এ অবশ্যই অরজিনাল ভিসা থাকতে হবে, এবং আপনার ম্যান পাওয়ার কিংবা বি এম ইটি কার্ড থাকতে হবে। বি এম ইটি কার্ড মূলত পাওয়া যায় তিন দিনের একটি ট্রেনিং করে নিকটস্থ টিটিসি সেন্টার থেকে। ট্রেনিং শেষে আপনাকে একটি কার্ড দিবে এ কার্ড অরজিনাল থাকতে হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক আপনাকে ৯ পার্সেন্ট সুদের হারে লোনটি দিবে। এটি একটি সরল সুদ। এবং প্রথম দুই মাস পর আপনার লোণটি মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এটি আপনাকে দুই বছরে শোধ দিতে হবে।
জামিনদার লাগবে কিনা
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে লোন নিলে অবশ্যই জামিনদারের প্রয়োজন রয়েছে। প্রবাসী ব্যাংক আপনাকে লক্ষ লক্ষ টাকা লোন দিচ্ছে কিন্তু তাদেরও তো একটা নিরাপত্তার ব্যাপার রয়েছে। আপনি যেকোনো ব্যাংক থেকে লোন উত্তোলন করলে আপনাকে কিছু জামানত দিতে হয়। ঠিক তেমনি প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক জামিনদার নিয়ে থাকে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক প্রধানত দুইজন জামিনদার নিয়ে থাকেন। প্রথম জামিনদারের একটি এনআইডি ফটোকপি, একটি পাসপোর্ট সাইজ ছবি এবং তিনটি চেকের পাতা। অবশ্যই সেই ব্যাংক একাউন্টি সচল থাকতে হবে। ব্যাংক একাউন্টে সচল না থাকলে আপনাকে সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
দ্বিতীয় জামিনদারের এক কপি এনআইডি কার্ডের ফটোকপি, এক কপি ছবি, অবশ্যই ছবিটি পাসপোর্ট সাইজ হতে হবে। উপরে উল্লেখিত তথ্যগুলো দিলে আপনার সঠিকভাবে প্রসেসিং হবে। প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক অবশ্যই আপনার সেবাই নিয়োজিত।
লোনের টাকা কিভাবে পরিশোধ করতে হবে
এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চাই লোন কত বছরের হয়। এবং এটি কিভাবে পরিশোধ করতে হয় আজকে বিস্তারিত জানাব। আর কোথা থেকে আপনি লোন উত্তোলন করবেন সেটা যদি বুঝতে না পারেন, তাহলে আমার কমেন্ট সেকশনে জানান আমি আপনাকে আপনার প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকের ঠিকানাটা বলে দেব। এতে করে অল্পতেই আপনি আপনার কাঙ্খিত লোনটি উত্তোলনকরতে পারবেন।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে যদি আপনি লোন উত্তোলন করেন। দুই ধরনের লোন হতে পারে একটি রি এন্ট্রি লোন, অপরটি নতুন প্রবাসীদের জন্য তিন বছরের লোন প্রতিশোধ করার নিয়ম করে থাকে। রি এন্ট্রি ভিসা মানে হচ্ছে যারা পুরাতন প্রবাসী তাদের জন্য দুই বছরে পরিশোধ করা হয়ে থাকে। এতে আপনার প্রথম দুই মাস পর আপনার মাসিক কিস্তিতে পরিশোধ করতে হবে। এটি একটি সরল সুদ ৯% হারে আপনার সুদ কর্তন করা হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে আপনি সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা পাবেন। জমি জায়গা গরু-বাছুর বিক্রি করে বিদেশ যাবেন এই চিন্তা বাদ দেন এখন প্রবাসী আপনার পাশে। এখন আপনার করনে হচ্ছে আপনি একটি নির্ভরযোগ্য এজেন্সি খুঁজুন যেখান থেকে আপনি সহজেই বিদেশ যেতে পারবেন । এবং প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক থেকে সহজে লোন নিয়ে বিদেশে পাড়ি জমান।
লোন নিয়ে বিদেশে গেলে কি কি করতে হবে
আপনি একটি বিশ্বস্ত এজেন্সির মাধ্যমে আপনার কাগজপত্র জমা দিবেন। আপনার অরজিনাল ভিসা হয়ে গেলে। পরে বি এম ইটি অর্থাৎ ম্যানপাওয়ার এই কার্ডটি পাওয়ার সাথে সাথে আপনি অরজিনাল ভিসা এবং ম্যানপাওয়ার কার্ড প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে জমা দেবেন। তাহলে আপনার লোনের কাজটি দ্রুত হয়ে যাবে। এতে আপনাকে ভোগান্তি পোহাতে হবে না।
এখন কথা হল বিএমইটি কার্ডটি কিভাবে সংগ্রহ করবেন। আপনার ভিসাটি হয়ে গেলে আপনার নিকটস্থ জেলায় যোগাযোগ করুন সেখানে টিটিসি অর্থাৎ টেকনিক্যাল ট্রেনিং সেন্টার থেকে আপনি বিএম ইটি কার্ডটি তিনদিনের ট্রেনিং করলেই পেয়ে যাবেন। ম্যান পাওয়ার কার্ড, দুইজন জামিনদার এবং অরজিনাল ভিসা নিয়ে নিকটস্থ প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে জমা দিন তাহলে আপনার কাজটি সম্পন্ন হয়ে যাবে।
এখানে দুই ধরনের লোন হয়ে থাকে একটি রি এন্ট্রি, অপরটি নতুন যাদের লোন হয়েছে। এখন কথা হল রি এন্ট্রি যাদের লোন কিভাবে, কত বছরের লোন, কতটি পাবে ? রি এন্ট্রি লোন নিয়েছে তারা তিন বছরে পরিশোধ করার সুযোগ পাবেন। অপরদিকে যারা পুরাতন প্রবাসী লোন নিয়ে নিবেন। তাদের ক্ষেত্রে দুই বছরে আপনাকে পরিশোধ করতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে বেতন কেমন
এখন আপনাদের সাথে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। সেটি হচ্ছে যে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থাৎ মালয়েশিয়া, দুবাই, কাতার, সৌদি আরব ইত্যাদি দেশগুলোর বেতন মাসিক কত হয়। এবং কোন কোন কাজের বেতন কেমন হয় এ বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করব। একটি কথা মনে রাখবেন আপনার ভিসায় মাসিক বেতন যেমন সে অনুযায়ী আপনি প্রবাসী ব্যাংক থেকে লোন পাবেন
প্রবাসে দুইটি কাজের বেতন সবচেয়ে বেশি। ক্লিনার, পামওয়েল, ওয়েটার, প্যাকেজিং, লোড-আনলোড, এগ্রিকালচার, ওয়ার্কার, ফুটপাকেজিং, ডেলিভারি, ওয়েল্ডিং, মেসন ইত্যাদি কাজগুলো হয়ে থাকে। এগুলোর একটিতে আবেদন করলে আপনি বিদেশে পারি জমাতে পারবেন সেখান থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা ইনকাম করতে পারবেন।
ওয়েল্ডিং এবং মেসন এই দুইটি ক্যাটাগরি থেকে আপনি সবচেয়ে বেশি বেতন পাবেন। শুধুমাত্র মধ্যপ্রাচ্য না বিশ্বের যেকোন দেশে এ কাজ দুইটির চাহিদা ব্যাপক হারে হয়ে থাকে। তবে এ কাজ দুইটি আপনি বিনে অভিজ্ঞতায় যেতে পারবেন না, অবশ্যই আপনাকে ট্রেনিং করে যেতে হবে। বাংলাদেশের অনেক ট্রেনিং সেন্টার আছে সেখান থেকে আপনি তিন মাসের ট্রেনিং করে বিদেশ যেতে পারবেন। আপনি যদি বিশ্বস্ত ট্রেনিং সেন্টারে যেতে চান তাহলে আমার কমেন্ট সেকশনে নক দিন।
টিপসলার্ন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url