এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব এ বিষয়টি জানতে হলে আপনি কি, এবং কিভাবে শুরু করবেন, তাহলে আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর চাহিদা দিন দিন বেড়ে চলেছে।
image
অনেকেই এটা একটি পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছে। ইনকাম করার জন্য এফিলেট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয় মাধ্যম হয়ে উঠেছে। আপনি যদি এফিলিয়েট মার্কেটিং সঠিকভাবে করতে পারেন তাহলে, আপনি আপনার সাফল্য অর্জন করতে পারবেন।
সূচিপত্রঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
- এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন শিখবেন-বিস্তারিত
- ঝুঁকিমুক্ত অনলাইন মার্কেটিং হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং
- ইউটিউব চ্যানেল-এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব
- ইমেইল মার্কেটিং- এফিলিয়েড মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়
- শেষ কথাঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব
এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব বিষয়টি বলতে গেলে প্রথমে যেটি বলা
যায় সেটি হচ্ছে। কোন ই-কমার্স ওয়েবসাইটের আন্ডারে পণ্য বিক্রি করে
কমিশন অর্জন করাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। এফিলেট মার্কেটিং একটি জনপ্রিয়
মার্কেটিং দিন-দিন এর চাহিদা বেড়েই চলেছে এখান থেকে অনেকে লক্ষ লক্ষ টাকা
ইনকাম করছে।
আরো সহজ ভাবে বলতে গেলে বলা যায়, কোন ওয়েবসাইটের পণ্য বিক্রি করে আপনি যে
কমিশন পাবেন সেই কমিশনকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলে। একটি উদাহরণ দিলে
আপনি সহজ ভাবে বুঝতে পারবেন, ধরুন আপনার রেফারেন্সে দারাজ থেকে একটি
ফ্রিজ বিক্রি হলো। ফ্রিজটির দাম ৫০০০০ এখানে যদি ৫% কমিশন থাকে তাহলে আপনি ২৫০০
টাকা পাবেন। আরে এটাকেই বলে অ্যাফিলেট মার্কেটিং।
এখন কথা হল পেলেট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব। একজন পণ্য উৎপাদনকারী প্রথমে
একটি বিশেষ প্রোগ্রাম শুরু করে এবং সেখানে মার্কাটাররা এসে যুক্ত হয়। এবং
প্রত্যেক মার্কেটারকে একটি করে লিংক দেওয়া হয়। সেই লিংক ব্যবহার করে কোন
ভিজিটর। কাস্টমার হিসেবে পণ্য কিনে সেখানে লিংক প্রদান করলে অটোমেটিক মার্কেটার
এর কাছে লিংক কানেক্ট হয় এবং সে উক্ত কমিশনটি পেয়ে যায়।
আরো পড়ুনঃ ফেসবুক মার্কেটিং করে ইনকাম করুন
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব
অডিয়েন্স গ্রুপ তৈরি করে এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য আপনাকে একটি ভালো অডিয়েন্স গ্রুপ খুলতে
হবে। এবং সেখানে আপনার অনেক ফলোয়ার্স থাকবে। আর যদি সেখান থেকে আপনার লিঙ্ক এর
মাধ্যমে পণ্য কিনে তাহলে আপনি কমিশনটি পেয়ে যাবেন। এর জন্য আপনাকে একটি
অডিয়েন্স গ্রুপ খোলা প্রয়োজন।
এছাড়াও আপনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
ফেসবুক পেজ কিং বা ওয়েবসাইট ব্লগ থাকে তাহলে সেখানে আপনি লিংক প্রমোট করবেন
এবং এই লিংক এর মাধ্যমে যদি কেউ পণ্য কিনে তাহলে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং
সহজে করতে পারবেন। বর্তমানে অধিকাংশই মানুষ সোশ্যাল মিডিয়াতে সময় ব্যয় করে এ
জন্য সোশ্যাল মিডিয়াতে লিংক প্রমোট করলে পণ্য বিক্রির পরিমাণ অধিক হারে
বেড়ে যায়।
এছাড়াও আপনি দেশি বা বিদেশি অডিয়েন্সকে টার্গেট করে যেমন মার্কেটিং করতে
পারবেন। তবে প্রথম ক্ষেত্রেই বাংলাদেশে থেকে বাংলাদেশকে টার্গেট করে আপনি
মার্কেটিং করলে আপনার পক্ষে সুবিধা হয়ে যাবে। দারাজের মত বিভিন্ন
মার্কেটিং এ আপনি জয়েন করে এখানে মার্কেটিং করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং
কিভাবে শুরু করব আশা করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন শিখবেন-বিস্তারিত
আপনি ইতিমধ্যে জেনে গেছেন যে এফিলিয়েট লিংক ব্যবহার করে যখন কোন ক্রেতা পণ্য
ক্রয় করবে সে বিকৃত পণ্য থেকে মার্কেটার কমিশন পাবে তাকে এফিলিয়েট মার্কেটিং
বলে। এর জন্য আমাকে আপনাকে ঘরের বাইরে কাজে যেতে হবে না। আপনি যে কোন জায়গা
থেকে ই-কমার্স মার্কেটিং এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে আপনাকে খুব বেশি ব্যাপক সময় লাগবে না এটি ঘরে বসে
থেকে আপনি সম্পূর্ণ করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং করলে, আপনাকে কন্টেটিং
রাইটিং কিংবা অন্যান্য কাজ ছাড়া যে বাকি সময়টুকু থাকছে সে সময়টুকু আপনি
মার্কেটে কাজে লাগিয়ে অনেক টাকা ইনকাম করতে পারবেন। তাই আপনি যে কোন কাজ
করেন না কেন। প্যাসিভ ইনকাম হিসেবে এ কাজটি করতে পারবেন এখান থেকে অনেকেই লক্ষ
লক্ষ টাকা ইনকাম করছে।
এর জন্য এফিলিয়েট মার্কেটার হিসেবে কখনো আপনাকে অধিকভাবে কষ্ট দায়ক কাজ করতে
হবে না। নিজের খেয়াল খুশি ইচ্ছা মতন যে কোন ফ্রি সময় আপনি এ কাজটি বেছে নিতে
পারেন। এজন্য আপনি যেকোন এফিলিয়েট কাজটি বেছে নিতে পারেন এবং আপনার কাজটি শুরু
করতে পারবেন। এফিলিয়েট মার্কেটিং কি,এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন শিখবেন আশা
করি বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন।
ঝুঁকিমুক্ত অনলাইন মার্কেটিং হিসেবে এফিলিয়েট মার্কেটিং
অনলাইন ইনকামের জন্য সবচেয়ে ঝুঁকিমুক্তএবং নির্ভরযোগ্য ইনকাম হচ্ছে
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম করা। এফিলিয়েট মার্কেটিং থেকে ইনকাম
করার আরেকটি সবচেয়ে মজাদার বিষয় হচ্ছে আপনাকে পণ্য তৈরি করতে হয় না এবং এর
ঝামেলা ও আপনাকে পোহাতে হয় না। আপনি ঘরে বসে বা বিশ্বের, যে কোন প্রান্তে বসে
লিংক প্রমোট করে এফিলিয়েট মার্কেটিং করে টাকা ইনকাম করতে
পারবেন।
এখানে আপনার একটি কাজ সেটা হচ্ছে আপনার সোশ্যাল মিডিয়া কিংবা ব্লগিং
ওয়েবসাইটের মাধ্যমে পণ্য বিক্রি করতে সাহায্য করা। এতে করে যদি পণ্য বিক্রি না
হয় সে ক্ষেত্রে আপনার আগে কোন সমস্যায় পড়তে হবে না এবং ঝামেলা পোহাতে হবে
না। তাছাড়া আপনি অন্য পন্য বিক্রি করার ট্রাই করতে পারবেন। এছাড়াও
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার কে পণ্য বিক্রি করে কাস্টমারকে সাপোর্ট দিতে হয়
না। এতে আপনার কোন সমস্যা হবে না।
আপনি অনলাইন ব্যবসার পাশাপাশি এফিলেট মার্কেটিং করতে পারবেন এবং অনেকে এটি করে
অনেক টাকা ইনকাম করছে। এছাড়াও আপনি যদি মনে করেন যে, আমি কম কাজ করবো বা
আমার হাতে সময় কম, সে ক্ষেত্রে আপনার সবচাইতে ভালো ইনকামের পথ হবে এফেলেট
মার্কেটিং করা। আশা করি ঝুঁকিমুক্ত অনলাইন মার্কেটিং হিসেবে এফিলেট মার্কেটিং কি
এটি বুঝতে পেরেছেন।
ইউটিউব চ্যানেল-এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব
আজকাল ইউটিউব ফ্ল্যাটফ্রম অতি জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে সাধারণ মানুষের কাছে
এখানে
এখানে প্রতিনিয়ত অনেক রকমের ভিডিও আপলোড হয় এবং লক্ষ লক্ষ মানুষ তা
দেখে। একটি সাধারণ মানুষ যখন কোন প্রোডাক্ট কিনবে তখন সামনাসামনি দেখে
কিন্তু পছন্দ করে তাই ইউটিউব মার্কেটিং করার জন্য জনপ্রিয় প্লাটফর্ম।
এফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন পণ্য যখন সঠিকভাবে ক্রেতার কাছে বর্ণনা করা
হয় তখন সেই ক্রেতা পণ্যটি কেনার জন্য ভালো হবে দেখে শুনে বুঝতে পেরে সেটি ক্রয়
করতে পারে। এজন্য ইউটিউব ভিডিও দেখে মার্কেটিং করা সবচেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে
সাধারণ মানুষের কাছে। এইভাবে ইউটিউবের মাধ্যমে মার্কেটিং করা বর্তমানে সহজ
হয়ে উঠেছে।
ইউটিউব এর মাধ্যমে এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে হলে প্রথমে আপনাকে একটি ইউটিউব
চ্যানেল থাকতে হবে। এবং সেখানে আপনি ভিডিও আপলোড করবেন আপনার প্রোডাক্ট এর বর্ণনা
দিয়ে তাহলে সেখানে ক্রেতা পণ্যটি দেখে ভালোভাবে বুঝে কিনতে পারবে। সেক্ষেত্রে
আপনার ইউটিউবের মাধ্যমে পণ্য বেশি বিক্রি হবে এবং টাকা ইনকাম হবে।
ইমেইল মার্কেটিং- এফিলিয়েড মার্কেটিং কিভাবে করতে হয়
ইমেইল আছে ইলেকট্রনিক mail আজকাল অনেকেই ইমেইলের মাধ্যমে অনলাইন মার্কেটিং
বা এফিলিয়েট মার্কেটিং করে থাকছে। আপনি যদি মনে করেন আপনি বেকার বসে আছেন
তাহলে আপনার জন্য আরেকটি প্লাটফর্ম হবে মেইল মার্কেটিং। ঘরে বসে না থেকে অবসর
সময় যদি থাকে তাহলে আপনি মার্কেটিং এর মাধ্যমে টাকা ইনকাম
করতে পারবেন।
এখন কথা হলো ইমেইল মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবেন। ইমেইল মার্কেটিং করার জন্য
প্রথমে অবশ্যই আপনাকে একটি ইমেইল থাকতে হবে। ইমেইলের মাধ্যমে আপনি যে কোন
সোশ্যাল মিডিয়াতে লিঙ্ক জেনারেট করে। কিংবা লিংক প্রমোট করার মাধ্যমে আপনার
ক্রেতা অন্যটি যদি কিনে থাকে তাহলে আপনি সেই লিংকের মাধ্যমে
পেয়ে যাবেন।
এখন যারা মনে করেন যে আমি কম কাজ করতে পারি এবং আমারও অনেক কাজ রয়েছে
সেক্ষেত্রে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারেন এবং সেটি ইমেইলের মাধ্যমে করতে
পারেন। তাহলে আপনার সময় কম লাগবে। এবং অল্প সময়ের মধ্যে আপনি অনেক টাকা ইনকাম
করতে পারবেন। ইমেইলের মাধ্যমে মার্কেটিং করা এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু
করব বিষয়টা বুঝতে পেরেছেন
শেষ কথাঃ এফিলিয়েট মার্কেটিং কি এবং কিভাবে শুরু করব
এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করব বিষয়টি নিয়ে অনেকক্ষণ আপনাদের সাথে
আলোচনা করেছি এবং অনেক পয়েন্ট দিয়ে আপনাদের বোঝাবার চেষ্টা করেছে। আশা করি
বিষয়টি বুঝতে পেরেছেন। যে এফিলিয়েট মার্কেটিং এবং কিভাবে শুরু করব এবং এর
মাধ্যমে কিভাবে ইনকাম করা যায়। এটি নিয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা
করেছি।
এফিলিয়েট মার্কেটিং এর মূল কাজ কি এবং বাংলাদেশ এফিলিয়েট মার্কেটিং। এ
বিষয়গুলো নিয়ে অনেকক্ষণ আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি এবং আপনাদের প্রতি
কৃতজ্ঞতা কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি যে, আপনারা ধৈর্য সহকারে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত
বিষয়টি জানার জন্য পড়েছেন। এর মাঝে যদি আমার কোন ভুল হয়ে থাকে তাহলে ক্ষমার
সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। ধন্যবাদ !
টিপসলার্ন বিডির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url